“অভিমান ও নিরব অভিমান”- এর পার্থক্য
অভিমান কি?
কে তুমি অভিমান?
কি তোমার পরিচয়? মানুষের হৃদ গহীনে তুমি কেন আসো বারেবারে?
আমিতো ডাকিনি কখনোই তোমাকে! তুমি আমার কিছু হও নাকি তাও জানি না। তবে কেন বারেবারে স্বজনের মতো আমার পিছু লেগে আছো।
আচ্ছা অভিমান….
আমার এই কোমলমতি পেলবময় মনটাকে তুমি এত তুচ্ছ মনে করো কেন ? আমি কি রক্তে মাংসে গড়া মানুষ নই? তুমি কেন আমাকে বারেবারে তিক্ততার দিকে ঠেলে দাও। আমিতু তিক্ততা চাই না।
হে অভিমান….
তুমি চিৎকার করে জানিয়ে দাওনা কেন যে…. শুধু ফেসবুকে লিখে প্রকাশ করাটাই অভিমান নয়। ফুত-ফুত করে কেঁদে উঠার নামই শুধু অভিমান নয়।
প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে ভদ্র আচরণের মাধ্যমে সাবলিল ভাষায় কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ আঘাতে পাথরের মত শক্ত ইস্পাত কাঠিন্য অভিমান গুলি প্রকাশ পায় না। মুখ ফুটে কিছু বলে না। চোখ বুঝে সইয়ে নেয় নিরবে। নিরবতাও বড় ধরনের একটা ভিন্ন রকমের অভিমানের বৈশিষ্ট।
বারংবার বুঝানোর পরেও প্রিয় মানুষটি যখন তাকে বুঝতে চায় না।
কারণে অকারণে যখন তখন আঘাত পেতে হয়। মনের অজান্তেই ঠুনকো অজুহাতকে বড় করে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রিয় মানুষটি যখন তালগুল পাকিয়ে তিক্ততা সৃষ্টি করে। ঠিক তখনই অভিমানের চরিত্রটি হয়ে যায় “নিরব”। বিভিন্ন ভাব আবেগের মাধ্যমে ব্যাক্ত করার নামটি অভিমান। এটি যেমন সহজে ভেঙে যায় না। তেমন মচকায়ও না। তেমনই কোনকিছু প্রকাশ না করে নিরব থাকার যে অভিমানটি সৃষ্টি হয় গহীন মনে, সেটি অত্যন্ত জটিল। যাকে বলে বুক ফাটে তবুও মুখ ফুটে না। যার নাম “নিরব অভিমান”। তবে হ্যা এ অভিমানটি জটিল হলেও একদম মনের গহীনে যাকে বসতি ঘেরে দেয়। তাকে ভুলে যাবার নয় কখনোই। নি:শব্দে নিরবে ভালোবাসা লালন করে যায় জীবনভর।
তারই নাম “নিরব অভিমান”। যাহা সহজে বুঝার নয়, দেখার ও নয়। এ অভিমানে থাকে গভীর প্রেমময়ী ভালোবাসা।
“নিরব অভিমান”টি’র তেতো বাস্তবতা হলো :-
সুসম্পর্ক দীর্ঘায়িত রাখা। সে জন্য ভীষণ কস্ট হলেও একদম চুপ থেকে প্রিয় মানুষের দেওয়া কস্ট গুলো হজম করে নেওয়া। প্রতিটি কথায় জবাব দিতে গেলে হয়তো বা তিক্ততা বাড়তে পারে বা মধুর সম্পর্কটিতে চির ধরতে পারে। একে অপরের প্রতি জ্বেদ সঞ্চার হতে পারে। সম্পর্কে যেন টানাপোড়েন না আসে। ফাটল ধরতে না পারে। তাই… নিরব থাকা। সুতরাং… কুঠারের আঘাত নিরবে সইয়ে সইয়ে দুটি সম্পর্ক-কে অটুট রাখাই হলো নিরব অভিমানের অন্যতম বৈশিষ্ট।
কলমে – কাজী সাব্বির