আলোর ঝলকানি বা ভুটানের মুখোমুখি হওয়া; সবকিছুই ছিল একটা ম্যাচকে ঘিরে। সেই কাঙ্ক্ষিত ম্যাচ মাঠে গড়াচ্ছে আজ। বেলা নামতেই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর লড়াই।
হামজা চৌধুরী, ফাহমিদুলদের অপেক্ষা ফুরিয়েছে আগের ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে। তবে এখনো মাঠে নামা হয়নি সামিত সোমের। আজ ফুরাতে চলছে সেই অপেক্ষা। লাল-সবুজের জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামবেন তিনি।
এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোনো জয় নেই। অবশ্য ‘সিঙ্গাপুর’ নামটা দেশের মানুষের কাছে যতটা পরিচিত, ফুটবলে তেমন নয়। এশিয়ার দেশ হলেও দেখা সাক্ষাৎ হয় কালেভদ্রে, নতুন প্রতিপক্ষ বললেও ভুল হবে না মোটেও। শেষ দেখা যে হয়েছিল এক দশক আগে!
দেখা-সাক্ষাৎ কম হলেও বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে জড়িয়ে আছে সিঙ্গাপুর। ১৯৭৩ সালের ১৩ আগস্ট, তাদের হারিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম জয়ের স্বাদ পায় স্বাধীন বাংলাদেশ।
ফিফা স্বীকৃত ম্যাচে ৪ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। ২ বার জিতেছে সিঙ্গাপুর, একটি জয় বাংলাদেশের। অন্য ম্যাচ ড্র হয়। ১৯৭৩ সালে প্রথম দেখায় ১-১ গোলে ড্র হয় লড়াই। বাংলাদেশের হয়ে গোল করেন কাজী সালাহউদ্দিন।
তবে চারবারের এশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়ন সিঙ্গাপুরকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। যদিও সময়টা তেমন ভালো যাচ্ছে না তাদের। দলটি জয় বঞ্চিত শেষ ছয় ম্যাচে। এর মাঝে হারের তিক্ততা জুটেছে চারটিতেই।
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে যে ম্যাচ নিয়ে তোলপাড় পুরো ক্রীড়াঙ্গন, সেই ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। এশিয়ান কাপের টিকিট অর্জনের বড় ধাপ এই ম্যাচ। চূড়ান্ত পর্বে খেলতে হলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে।
নিজেদের গ্রুপের আগের দুই ম্যাচ ড্র হওয়া তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, ভারত ও হংকংয়ের মধ্যে। সবকিছু মিলিয়ে রোমাঞ্চকর এক লড়াই দেখার অপেক্ষায় ফুটবলভক্তরা।
যা শুধুই একটা ম্যাচ নয়, ৫২ বছর আগে যে দলের বিপক্ষে প্রথম জয় পেয়েছিল লাল-সবুজরা, দেশের ফুটবলের বাঁক বদলের ক্ষণে সেই সিঙ্গাপুরকে উড়িয়েই মিশনে করতে চায় শুভ সূচনা।