রক্তাক্ত জুলাই
কলমে নাট্যকার মোঃমনির সরদার
গোসাইরহাট শরীয়তপুর।
বাংলার রাজপথে
এখনো চিৎকার শুনি,
নৃশংস হত্যার বিরুদ্ধে
চলো আবার যুদ্ধ করি।।
লাল রক্তে ভেজা ভোর
কান্নায় কেঁপে ওঠে বুক,
শহর জুড়ে চলে মিথ্যে
ভাষণের রাজনীতি।।
দরজা ভেঙ্গে চলে
সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট,
দিনদুপুরে পাথার মেরে
সোহাগের মৃত্যু করে নিশ্চিত।।
কতো শত মানুষের দাবি
বাংলার এই রক্তাক্ত রাজপথে,
সন্ত্রাস মুক্ত- তরুণ প্রজন্ম চায়
মশাল মিছিল করে।।
আমার অধিকার
ছিনিয়ে নিতে চায়,
স্বৈরাচার ও সন্ত্রাসবাদ
রক্তে লাল হয়ে যায় বাংলার মাটি।।
বাতাসে ভেসে আসে
বেদনার করুন সুর,
বীরত্বে কন্ঠে কন্ঠে স্লোগান
আধার পেরিয়ে আলোর দিকে।।
আমি বিদ্রোহী এক লাশ মঞ্চের মিথ্যে ভাষণের করি প্রতিবাদ,
রক্তাক্ত মাটির ঘ্রাণে মিশে আছে
আমার ভাই ও বোনদের ইতিহাস।
বুক চিরে গুলির আওয়াজ
তবুও ভয়ে পিছু হাঁটবো না,
আমি স্বাধীনতার কথা বলি
রক্তাক্ত বাংলাদেশে।।
ফ্যাসিবাদের মুখে ছিল
অবিচারের সাজানো গল্প,
জুলাই ও আগষ্টে
স্বৈরশাসক পালিয়ে।।
তারুণ্যের চোখে ছিল
জ্বলন্ত আগুন,
যন্ত্রণায় ছটফট করে
কতো শত মানুষ
তবু মানবো না পরাজয়।।
তবু থামেনি ষড়যন্ত্র
চলছে দেশের বিরুদ্ধে,
তারুণ্যের প্রেমিক দল
চোখে -চোখ রেখে দিল
আন্দোলনের ডাক।।
বুকের ভেতর আগুন জ্বলে
বেঁচে থাকার প্রেরণা,
রক্তাক্ত জুলাইয়ে বন্ধ
রক্তের মিছিল।।
তারুণ্যের কন্ঠে যখন বেজে ওঠে
তুমি কে আমি কে
রাজাকার রাজাকার,
তখন রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে
সেই বিদ্রোহী সুরের ঝংকার।।
লেখা হয় দেয়ালে
লেখা হয় পত্রিকায়,
আন্দোলনে আন্দোলনে মুখরিত
প্রতিটা রাজপথ রাজপথ।।
জুলাই মাসে লেখা হয়
নতুন বাংলাদেশের ইতিহাস,
রক্তে লেখা বিপ্লবী কবিতা
তরুণ প্রজন্মের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।।
এই রক্তাক্ত জুলাই চিরকাল
মনে করিয়ে দিবে
শোষণের দিন শেষ,
বিদ্রোহের আগুন
কখনো নিভবে না,
যতক্ষণ পর্যন্ত এই
বাংলার জন্মভূমি রবে।।
এই মাটি, এই আকাশ সাক্ষী
শোষকের পতনের
তারুণ্যের অঙ্গীকার,
প্রতিবাদ নয় -প্রতিরোধ করো
জালিমের কারাগার ভেঙ্গে।।