1. dailyrodrodipto@gmail.com : রৌদ্রদীপ্ত : রৌদ্রদীপ্ত
  2. info@www.newsbddailyrodrodipto.online : রৌদ্রদীপ্ত :
বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:১০ পূর্বাহ্ন

পেইন থেকে মেটাসটেসিস : হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গি শরীরে কি ঘটতে পারে হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গিতে?

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

পেইন থেকে মেটাসটেসিস : হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গি
শরীরে কি ঘটতে পারে হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গিতে?

হোমিওপ্যাথির মতে, দেহের অভ্যন্তরে বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি এবং তাদের বিস্তার (যেমন মেটাসটেসিস) মূলত শরীরের শক্তির ভারসাম্যহীনতা ও মাইয়াজমের প্রভাবের ফল।
১. পেইনের উৎপত্তি এবং সিগন্যালিং
পেইন (ব্যথা) শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল, যা অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক আঘাত, প্রদাহ বা কোষগত পরিবর্তনের কারণে সৃষ্টি হয়। হোমিওপ্যাথিতে মনে করা হয়, এটি শরীরের জীবনীশক্তির (vital force) একটি প্রতিক্রিয়া, যা অসামঞ্জস্যতার ইঙ্গিত দেয়। যখন এই পেইনের কারণটি দীর্ঘমেয়াদী হয় এবং দেহ সেটি সমাধান করতে ব্যর্থ হয়, তখন তা মেটাসটেসিসের দিকে অগ্রসর হতে পারে।
২. মেটাসটেসিসের কারণ হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিতে
হোমিওপ্যাথি অনুসারে, মেটাসটেসিস হলো শরীরের প্রাথমিক রোগের দমন (suppression) বা অবহেলার ফল। এটি তখন ঘটে যখন দেহ তার প্রাথমিক অবস্থাকে সামঞ্জস্য করতে পারে না এবং কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত হয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বা টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে।
মায়াজম: হোমিওপ্যাথিতে মায়াজম হলো রোগের মূল কারণ, যা শরীরে সুপ্ত অবস্থায় থাকে এবং অনুকূল পরিবেশে সক্রিয় হয়ে ওঠে। মেটাসটেসিসের ক্ষেত্রে সোরিক, সাইকোটিক বা সিফিলিটিক মাইয়াজমের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
জীবনীশক্তির দুর্বলতা: যখন জীবনীশক্তি এত দুর্বল হয়ে যায় যে শরীর তার স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, তখন রোগ শরীরে আরও গভীরভাবে প্রবেশ করে।
৩. উদাহরণ
ক্যান্সারের পেইন এবং মেটাসটেসিস: ধরা যাক, একটি ব্যক্তি ক্যান্সারের কারণে ব্যথায় ভুগছে। হোমিওপ্যাথি মতে, যদি ব্যথার মূল কারণটি সঠিকভাবে চিহ্নিত না করা হয় এবং শুধুমাত্র পেইন ম্যানেজমেন্ট করা হয়, তবে রোগ দমন হয়ে শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
গাঁটে ব্যথা এবং আর্থ্রাইটিস: দীর্ঘদিন ধরে গাঁটে ব্যথা যদি উপেক্ষা করা হয় বা শুধুমাত্র বাহ্যিকভাবে উপশম করা হয়, তবে এটি দেহের অন্যান্য অঙ্গে প্রদাহজনিত সমস্যার সূত্রপাত করতে পারে।
৪. শরীরের প্রতিক্রিয়া এবং হোমিওপ্যাথির বিজ্ঞান
ব্যথার গভীরতর কারণ: হোমিওপ্যাথি রোগের মূল কারণ ও তার প্রকাশের ধরন (modalities) বিশ্লেষণ করে। মেটাসটেসিসে কোষের অস্বাভাবিক আচরণ এবং শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থার ব্যর্থতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ইমিউন সিস্টেম এবং কোষের স্বাস্থ্য: হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিতে, কোষের স্বাস্থ্য এবং ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা জীবনীশক্তির ওপর নির্ভরশীল। যখন এটি দুর্বল হয়, তখন শরীর রোগের প্রসারণ রোধ করতে ব্যর্থ হয়।
পরিশেষে
পেইন থেকে মেটাসটেসিসে অগ্রসর হওয়া জটিল প্রক্রিয়া, যা শুধু শরীরের নয়, মন এবং জীবনীশক্তির ওপরও নির্ভরশীল। হোমিওপ্যাথি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ ও কারণ চিহ্নিত করে দেহকে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় ফিরিয়ে আনার ওপর গুরুত্ব দেয়। এটি রোগ দমন বা সাময়িক উপশমের পরিবর্তে সার্বিক স্বাস্থ্য পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে।

ইকবাল জিল্লুল মজিদ
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক
পরিচালক কমিউনিটি হেলথ
রাড্ডা এমসিএইচ-এপি সেন্টার

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট