৩৬৫ ফটোগ্রাফি লাইব্রেরি
রাশেদ কবীর:
জ্ঞানের বিস্তার ঘটাতে এ শহরে সর্বসাধারণের জন্য খুব কম দরজাই খোলা থাকে। কম খরচে পড়াশোনা এ সময়ে আরও দুর্লভতম বস্তু হয়ে উঠেছে। আলোকচিত্রের বইগুলো যেমন দামের হয়ে থাকে, তেমনি ভারীও। সবাই সহজে সংগ্রহ করতে পারেন না। তবে সবার জন্য উন্মুক্ত এ শহরে- ‘৩৬৫ ফটোগ্রাফি লাইব্রেরি’।
তরুণ প্রজন্মের জন্য সংগ্রহশালার দরজা-জানালা-ঘর, ঘরের উঠোন উন্মুক্ত করে রেখেছেন সাইফুল আমিন কাজল। তিনি গ্রন্থাগারটি গড়ে তুলেছেন অনেকটা একক প্রচেষ্টায়। তবে দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষ ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পেয়েছেন। সাইফুল আমিন কাজল নেশায় ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফার। ১৯৯০ সাল থেকে ছবি তুলছেন তিনি। তবে ২০১৫ সাল থেকে ছবি তোলাকে সিরিয়াসলি নিয়েছেন। তাঁর ক্যামেরায় বন্দি হয়েছে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ইভেন্ট, ঘটনা ও চরিত্র। তবে তিনি পেশায় একজন বেসরকারি চাকরিজীবী ছিলেন। করোনাকালে তাঁর চাকরি চলে যায়। নতুন করে কোনো চাকরি আর খুঁজে পাননি, কিন্তু লাইব্রেরির জন্য নতুন নতুন বই ঠিকই সংগ্রহ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন কালক্রমের প্রামাণ্য দলিল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই লাইব্রেরি
২০১৫ সালের কথা। ঢাকার ধানমন্ডির দুই নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর বাড়ির একটি ঘর নিয়ে সাইফুল আমিন কাজল গড়ে তোলেন এই অমূল্য সংগ্রহশালা। প্রতিষ্ঠা করেন ‘৩৬৫ ফটোগ্রাফি লাইব্রেরি’। লাইব্রেরির দীর্ঘায়ুর জন্য বার্ষিক এবং আজীবন সদস্য হওয়ার সুযোগও তিনি রেখেছেন। পাঠক যেন সহজেই পেয়ে যান প্রয়োজনীয় বইটি, এ জন্য শ্রেণিবদ্ধভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে সব বই।