শ্রাবন্তী লিজা: লাইব্রেরিতে সবাই আসে পড়াশোনা করতে। অন্যের মনোযোগে যেন বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য লাইব্রেরিতে ঢোকার আগে মোবাইল ফোন সাইলেন্ট করে নাও। মোবাইলে কথা বলতে হলে লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে কথা বলো। লাইব্রেরিতে নীরবতা কাম্য।
চেয়ার বা টেবিল টানাটানি করবে না নিজের সুবিধার জন্য লাইব্রেরির অভ্যন্তরীণ পরিবেশের কোনো পরিবর্তন ঘটাবে না। নিজের পছন্দমতো জায়গায় চেয়ার টেবিল টেনে নিয়ে বসবে না। বসার সময় চেয়ার এমনভাবে সরাবে যেন জোরে শব্দ না হয়।পড়ার সময় শিষ্টাচার বজায় রাখো লাইব্রেরিতে জোরে, জোরে বা গুনগুন করে পড়বে না। পড়তে পড়তে শিস দেওয়া, চেয়ার বা টেবিলে তবলা বাজানো, কলম দিয়ে শব্দ করা, টেবিলে আঁকাআঁকি করা, গান শোনা, অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকা প্রভৃতি অশোভন কাজ করবে না। পড়ার সময় পা দোলাবে না। পাশের কারও সঙ্গে উচ্চৈঃস্বরে কথা বলবে না।
বই খুঁজে পেতে সাহায্য নাও শেলফ থেকে সতর্কতার সঙ্গে বই নামাও। না হলে বই নিচে পড়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। কাক্সিক্ষত বই খুঁজে না পেলে লাইব্রেরিয়ানের সাহায্য নাও। যে বইগুলো তোমার প্রয়োজন শুধু সেই বইগুলোই টেবিলে নাও। অযথা বেশি বই নিয়ে আটকে রাখবে না। বই আটকে রাখলে যার প্রয়োজন তিনি খুঁজে পাবেন না।
পড়া শেষে বই গুছিয়ে রাখার ক্ষেত্রে লাইব্রেরিভেদে নিয়ম ভিন্ন হয়। কোনো লাইব্রেরিতে নিয়ম থাকে পড়ার পর বইটি টেবিলেই ছেড়ে আসার। আবার কোনো লাইব্রেরির নির্দেশনা থাকে যে স্থান থেকে বইটি নিয়েছেন সে স্থানেই তুলে রাখার জন্য। নির্দেশনা মেনে চলো।
আসন ধরে রাখবে না নিজের ব্যাগ, ফাইল, খাতা প্রভৃতি দিয়ে বন্ধুর জন্য জায়গা ধরে রাখবে না। অপরকেও পড়ার সুযোগ দাও।বইয়ের যত্ন বইয়ের পাতা ছিঁড়বে না, ভাঁজ করবে না। প্রয়োজনে লাইব্রেরিয়ানের সাহায্যে ফটোকপি করে নাও। বইয়ের ক্ষতি করা অপরাধ। না বলে বই বাসায় আনবে না। নিয়ম মেনে সদস্য হয়ে বই ধার করো। নির্দিষ্ট সময়ে বই জমা দাও। বইয়ের ক্ষতি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখো।