রাশেদ কবীর: সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ের কর্তৃক স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন আইন ২০০৯) সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহন পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের এখতিয়ার সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত করেছে। এর প্রেক্ষিতে আজ ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম মাইজভান্ডারি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থে সিটি কর্পোরেশন সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী সংকট আরও দীর্ঘায়িত করবে। অংশীজনদের আলোচনার ভিত্তিতে বিআরটিএ কর্তৃক যৌক্তিক নীতিমালা প্রণয়ন ব্যাটারিচালিত যানবাহন সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার প্রশাসনের হাতে ব্যাটারিচালিত যানবাহন নিয়ন্ত্রণের এখতিয়ার তুলে দেয়ার পাঁয়তারা চলছিল। কিন্তু আমরা দেখেছি সিটি কর্পোরেশন ইতোমধ্যে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান ও প্রশিক্ষণের উদ্যোগটি কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে। নগরবাসীর নাগরিক সেবা প্রদানের দায়িত্বভারে ন্যুব্জ প্রতিষ্ঠানের হাতে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে সরকার দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি করতে চলেছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যাটারিচালিত যানবাহন শুধু সিটি কর্পোরেশনের বিষয় নয়, সমগ্র বাংলাদেশের ৭০ লক্ষ মানুষের রুটি রুজির মাধ্যম। ফলে এসব যানবাহন সমগ্র দেশে একক নীতিতে পরিচালনার জন্য যৌক্তিক নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে এমন প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে যাদের যানবাহন সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা কাঠামো আছে। বাংলাদেশে যানবাহন পরিচালনা ও তদারকির পেশাদারিত্বের প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ। ফলে অংশীজনদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে বিআরটিএ কর্তৃক অবিলম্বে যৌক্তিক নীতিমালা প্রণয়ন ও লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। অন্যথায় সংকট নিরসনের উদ্যোগ সংকটকে আরও ঘনীভূত করে মহাসংকটে রূপান্তরিত করবে।