
এস এম সুলতান বাংলাদেশে এসে নড়াইলের বাড়িতেই থাকতেন। সেখানে নীহার বালা দেবীর সাথে নাসির আলি মামুনের এক সাক্ষাৎকারে এক সাভাবিক সুলতানের গল্প শুনি। লেখাটি পরে অবাক হচ্ছিলাম কেননা যে সমাজে হিন্দু আর মুসলমানকে ঘিরে এত রাজনিতি সে দেশেই নীহার বালার দেবী সুলতানের ঘরে আপনজন, নীহার বালাকে তিনি মা বা প্রেমিকা কোনটিই ডাকতেন না কিন্তু তার নীহার বালা সুলতানকে শিল্পী হিসেবে খুব কাছ হতে দেখেছেন সেই নানা গল্প এক অদ্ভুত জীবনের খোজ দেয়। এই বাংলায় শিল্পীকে আজীবন যারা জুতো ছুরেছেন তাদের বিরুদ্ধে বুদ্ধীজীবী সমাজকে দেখেছে আলোচনা সভাতে অংশগ্রহন করতে কিন্তু শিল্পীর কাজকে বাচাতে নিজের শিশুকে নিজের দেশকে কেউ এন সি টিবির বইতে সঠিক স্থানে চর্চার বোধ তারা করেন নি। চোখ ফেরাতেই মনে পড়ল গগন হরকরার কথা, যার নামটি শুনলেই মনে হয় এই বুঝি চিঠি এলো। একটি আর্টিকেল পড়ছিলাম গুনি সেই লেখকের লেখা হতে জানলাম প্রকাশ নাথ তিনিও ব্লগ লেখেন তার লেখাতে জানলাম কবীগুরু তার গানের গলাটি সেদিন সভায় উঠাতে পারছিলেন না বলে গগন হরকরাকে গান গাইতে সাধলেন আর তার কন্ঠ হতে বেরিয়ে এলো-
“লাগি সেই হৃদয়শশী সদা প্রাণ হয় উদাসী
পেলে মন হতো খুশি

দেখতাম নয়ন ভরে।
আমি প্রেমানলে মরছি জ্বলে
নিভাই অনল কেমন করে
মরি হায় হায় রে
ও তার বিচ্ছেদে প্রাণ কেমন করে
ওরে দেখ না তোরা হৃদয় চিরে। …..”
সেদিন সবাই নাকি অনেকক্ষন চুপ হয়েছিলেন তার গান শুনে। অথচ আজ এই গানের আসর বসলে বাউলকে লাঠিপেটা করে , পুকুরে বা জলের ডোবায় ঝাপ দিয়ে প্রান বাচাতে হয় আর সেসব ভিডিও সাংবাদিকরা কাভার করে নিয়ে এলে এক দল বলে হায় হায়…আর অন্যদল বল নিশচয় সালা গাজা খেয়ে নেশায় ছিল নয়ত সালা ধর্মের অবমাননা করেছে। আর এক দল বলে দেশে আর থাকার কোনো ইচ্ছে নাই। এসব লিখতে লিখতে জানিনা কেন বারবার চোখের কোনায় জল আসে,আমি কোন ইজম বুঝিনা বুঝি মানুষের বিচিত্র মনের পিপাসায় পাপ থাকতে পারেনা আর সেই নিস্পাপ কর্ম শিল্পী ছাড়া জন্ম দেয়া যায়না। সবাই যখন ভাবতে পারেনা তখন কেউ মরা লাশের স্তুপের উপর দাড়িয়েও লিখে যায়। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের ধারনা কবিগুরু তার ভাবির সাথে প্রেমে মজেছিলেন এজন্যেই না বিষ খেলো! কিন্তু তাদের এই বুদ্ধিজীবি সমাজ লিখে বলে পড়িয়ে বুঝালোনা, বালিকা বৌদির ওই বয়সে তার পতিদেবের সম সাম য়িক চিন্তার দরজায় পৌছান নাই। আর সেই ঘরে রবী ছিলেন তার একমাত্র বাল্য বন্ধুটি। প্রেমের আর পর্দার মধ্যে যেত তফাতটুকু আছে সেখানে যৌনতা দিয়ে দেখা ছাড়া এই বাঙ্গালী আজো কিছু দেখতে পায়না।
বেগম রোকেয়ার ছবিতে যারা “মাগী” লিখেছিল তাদের বিরুদ্ধে কেউ বলেনি এ অন্যায়, এ অপরাধ। কেনই বা বলবে দল ছুটে যাবে যে! অথচ এই রোকেয়ার জীবন কেউ পড়েনি। পড়বেওনা, এ জাতি দিন দিন মৌল বাদী হচ্ছে পড়ার অভাবে। সবকিছুতেই যৌনতা বিশেষ করে তাদের কাছে নারী বা বাউল সবকিছুকেই তারা যৌনতা আর ধর্ম দিয়ে আজীবন মেপে গেলো যাচ্ছে আর কিছু লেখক যারা নারিকে তার শরীর আর রোমান্সকর শব্দে লিখে গেছে সেই গল্প পরে আমরা শিখেছি নারী মানেই এক এক গল্পে এক এক উত্তেজনা অথচ এই সমাজ জানেনা নারী সে হোউক কোরান অথবা পুরান কিংবা বাউলের প্রানে একি সুর বাজে যার নাম প্রজ্ঞা। সেই প্রজ্ঞার হানী কোনোদিন মিটবে কিনা অজানা ।