রাশেদ কবীর: আটঘর কুড়িয়ানা ও ভীমরুলির এই ভাসমান বাজারটি রূপে গুনে পুরোপুরিই প্রাকৃতিক। পেয়ারার জন্য বিখ্যাত এই অঞ্চল। কয়েক মাইল এলাকা জুড়ে এখানে পেয়ারা চাষ হয়, জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় বলে দুপাশের মাটি তুলে মোটা আইল বানানো হয় যেখানে পেয়ারা গাছ লাগানো হয়েছে । যার ফলে পেয়ারা গাছের সাড়ির দুপাশে তৈরি হয়েছে নালার মত যেটাতে ডিঙ্গি নৌকা চলে। বর্ষা হচ্ছে পেয়ারার মৌসুম। নৌকা করে গিয়ে পাকা পেয়ারা সংগ্রহ করা হয় ।
আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নেই হয় পেয়ারার আসল কেনাবেচা। বাগান মালিকেরা নৌকায় করে পেয়ারা নিয়ে আসেন । ভীমরুলি, আটঘর আর কুড়িয়ানা – তিনটি জায়গায় বসে ভাসমান পেয়ারার বাজার। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বড় বড় ইঞ্জিন বোট নিয়ে সেখানে হাজির হয়ে পেয়ারা কিনেন। পেয়ারা কেনা হয় নৌকা হিসেবে কিংবা মন হিসেবে। এই হাটগুলো ভ্রমণের সবচেয়ে ভাল সময় হচ্ছে পেয়ারার ভরা মৌসুম জুলাই থেকে আগস্টের শুরু পর্যন্ত । পেয়ারার পাশাপাশি এই এলাকা আমড়ার জন্যও দেশ বিখ্যাত।
বাংলাদেশের এই প্রাকৃতিক খালের উপরে সম্পূর্ণ কৃত্রিমতা বর্জিত ভাসমান বাজারটি তাই অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় গন্তব্য! বিশেষ করে যে সব বিদেশীরা বাংলাদেশে আসেন, তারা চেষ্টা করেন এখানে একবার একটি ঢু মেরে যেতে।