অজস্র সূর্য কুড়াই
সাঈদা আজিজ চৌধুরী
প্রেম আসে কতো ভাবে কতো রূপে
সবুজ বৃক্ষময় মৃত্তিকা, টলোমলো নদী
আটকে থাকে রমণীর গোলাপী হৃদয়।
জোয়ার আসে সমুদ্রে,নদীজলে
সবুজ বৃক্ষের আকাশে শাদা মেঘ ভাসে
পাখিরা ডানা মেলে জীবন ছোঁয়ার বাসনায়
ডানার দুর্বার শব্দে ঝড় নিভে যায়।
ভেবোনা তুমি,বেশ আছি আমি—
যদিও মানুষের সূচিপত্র অহরহ বদলায়
নদীতীরে জল-জোনাক সন্ধ্যার ধ্রুবতারা
সম্মুখে হাঁটে—আমি পিছু পিছু।
তুমুল বৃষ্টি,বর্ষার জলে ভিজেনি শরীর
হাতে হাত রেখে শিশিরে ডুবেনি পা দুখানি
আসেনি পথিক বকুল হাতে নিঃসঙ্গ সন্ধ্যায়
জীবনের কী- – বা আসে যায়—
যে বৃক্ষ ছায়া দেয়,যে নদী কাছে আসে
নগরীর দহন বিলাপে বৃষ্টি ধুয়ে দেয় মেঘলা আকাশ
যে ঢেউ ভিজিয়ে দেয়, যে কথায় স্বর্গ নামে
আমি হাঁটি পাশাপাশি—কাছাকাছি সেই আলোঘর।
জোছনার সুরে আকাশ গেয়ে ওঠে
সন্ধ্যাস্মৃতির ব্যাপক পরিধি ধলেশ্বরীর বুকে
খোলা আকাশ তারাদের হাসি হৃদয় অতল।
দখিণা বাতাস আসে,আঁচল ওড়ায় ঘাসে
চিরায়ত গন্ধ ঢালে অসংখ্য ফুলে
সোনারোদ এসে অঙ্গে হাসে
আকাশ আলোয় জীবন মাখামাখি।
যতদূর যাই,পথে যেতে থমকে দাঁড়াই
শিশির ফোঁটায়,তরঙ্গ জলে,গাছের পাতায়
বিন্দু বিন্দু অজস্র সূর্য কুড়াই।
ভেবোনা তুমি,বেশ আছি আমি—বেশ আছি।