গাজা–ফিলিস্তিন: ৬৫,০০০ প্রাণহানি, ২০,০০০ শিশু নিঃশব্দে নিধন—কেউ কিছু কহিল না
ইকবাল জিল্লুল মজিদ
ইসরাইল—
তুমি সভ্যতার মুখোশধারী নরপিশাচ!
শিশুর খুলি ভেঙে ট্যাঙ্কের নিচে রক্ত ঝরাও,
মায়ের কোল ছিনিয়ে নিয়ে মৃত্যু উপহার দাও,
তুমি শুধু দখলদার নও, তুমি মানবতার হত্যাকারী।
তুমি ভেবেছো আগুনে পোড়ানো যাবে ইতিহাস?
তুমি ভেবেছো রক্তে ডুবিয়ে মুছে ফেলা যাবে ফিলিস্তিনের নাম?
না!
তোমার পতন অনিবার্য—
প্রতিটি শিশুর চোখ থেকে উঠে আসবে প্রতিশোধের শপথ।
আর বিশ্ব—
তোমরা কেন চুপ?
কোথায় জাতিসংঘের নকল কাগুজে আইন?
কোথায় মানবাধিকারের ভণ্ড মুখোশ?
তোমরা আসলে লাশের বাণিজ্য করো,
তোমাদের বিবেক ডলার আর রক্তমাখা অস্ত্রের কারখানায় বিক্রি হয়ে গেছে।
মুসলিম উম্মাহ!
তোমরা কী ঘুমিয়ে আছো?
মক্কার আজান শুনেও কেন জেগে ওঠো না?
তোমাদের নাফরমানী আর ভীরুতা আজ গাজাকে সমাধিক্ষেত্র বানিয়েছে।
রাশিয়া—
তোমার ঠান্ডা নীরবতা গাজা জুড়ে আগুন ছড়িয়েছে।
ভারত—
তোমার দ্বিচারিতা, ভণ্ড বন্ধুত্ব আজ প্রকাশ্য বিশ্বাসঘাতকতা।
আমেরিকা—
তুমি ইসরাইলের কসাইখানায় রক্তমাখা অস্ত্র পাঠিয়ে গর্ব করছো!
আরব দুনিয়া—
তোমরা তেলের রাজ্যে ভেসে থেকেও রক্তের নদী দেখছো, কিন্তু চুপ!
৬৫,০০০ প্রাণ—
এরা শুধু সংখ্যা নয়, একেকটা তারকা, একেকটা মহাবিশ্ব।
২০,০০০ শিশু—
তাদের হাসি মাটিতে মিশে গেছে, তবু বিশ্ব নির্বাক।
কিন্তু শোন ইসরাইল—
প্রতিটি ধ্বংসস্তূপ, প্রতিটি ভাঙা ইট,
প্রতিটি রক্তমাখা কাপড়ে লেখা আছে—
“তোমার পতন আসন্ন!”
গাজার শিশুরা আগামীর সৈনিক,
তাদের চোখে জ্বলছে প্রতিশোধের আগুন।
ইতিহাস তোমার নাম লিখবে অভিশাপে,
মানবতা তোমাকে স্মরণ করবে অভিশপ্ত নরপিশাচ বলে।
হে বিশ্ব!
যদি আজও চুপ থাকো,
কাল তোমাদের গৃহেও আগুন জ্বলবে।
কারণ অন্যায়ের আগুন একদিন সবাইকে ছুঁয়ে যায়।